ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত উপাদানগুলো আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। কিছু উপাদান আছে যা মুখের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং নানা ধরনের ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এখানে এমন কিছু উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো যা কখনোই চেহারায় মাখা উচিত নয়:
অ্যালকোহল:
- অ্যালকোহল ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের স্তরকে সরিয়ে ফেলে, যার ফলে ত্বক শুষ্ক এবং অমসৃণ হয়ে যায়।
- এটি দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের আর্দ্রতা হ্রাস করতে পারে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমিয়ে দেয়।
স্যালিসিলিক অ্যাসিড:
- অতিরিক্ত ব্যবহারে স্যালিসিলিক অ্যাসিড ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে তুলতে পারে এবং সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে।
লেবুর রস:
- লেবুর রসে উচ্চমাত্রার অ্যাসিড থাকে, যা ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।
- সূর্যের আলোতে লেবুর রস ব্যবহার করলে ত্বকে পিগমেন্টেশন সমস্যা হতে পারে।
বেকিং সোডা:
- বেকিং সোডার ক্ষারীয় প্রকৃতি ত্বকের প্রাকৃতিক পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ত্বককে শুষ্ক ও অমসৃণ করে তুলতে পারে।
হাইড্রোজেন পারক্সাইড:
- হাইড্রোজেন পারক্সাইড ত্বকের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।
- এটি ত্বকের প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়া ধীর করে দিতে পারে।
ভিনেগার:
- ভিনেগারের অ্যাসিডিক প্রভাব ত্বকে জ্বালাপোড়া এবং লালচে ভাব সৃষ্টি করতে পারে।
- এটি ত্বকের প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তর নষ্ট করে দিতে পারে।
বডি লোশন:
- বডি লোশনের উপাদানগুলো মুখের ত্বকের জন্য অতিরিক্ত ভারী হতে পারে এবং ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে।
- মুখের ত্বকে স্পেশালাইজড ফেস ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।
কঠিন স্ক্রাব:
- কঠিন স্ক্রাব ত্বকের উপরের স্তরের কোষগুলিকে আঘাত করে এবং সংবেদনশীল ত্বকে ক্ষতি করতে পারে।
- এটি ত্বককে অমসৃণ এবং প্রদাহিত করে তুলতে পারে।
9. ভ্যাসলিন
ভ্যাসলিন সারা বিশ্বেই ত্বক আর্দ্র করার একটি উৎকৃষ্ট উপাদান। এটি শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধে উপকারী। বিভিন্ন কাটাছেঁড়া বা পোকামাকড়ের কামড়ে এটি ব্যবহার করা যায়। তবে ব্রণ হলে কখনোই ভ্যাসলিন মুখে লাগাবেন না। কারণ, এটি ব্রণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
10. টুথপেস্ট
অনেকেই ব্রণ শুকিয়ে ফেলার জন্য টুথপেস্ট ব্যবহার করেন। তবে এ কাজ কখনোই করতে যাবেন না। টুথপেস্ট মুখের ত্বকে অস্বস্তি বাড়ায় এবং ত্বকে অনেক ক্ষতি করতে পারে। যেমন : কেমিক্যাল বার্ন, স্কার্স ইত্যাদি।